ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

কুতুবদিয়ায় ঝুকিপূর্ণ মাদ্রাসা ভবনে পাঠদান চলছে…

আবু আব্বাস সিদ্দিকী, কুতুবদিয়া ::
কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের কুতুব আউলিয়া শামসুল উলুম আজিজিয়া দাখিল মাদ্রাসার একমাত্র ভবনটি খুবই ঝুকিঁপূর্ণ। ফলাফলের দিক দিয়ে দ্বীপের সেরা হলেও মাদ্রাসাটিতে উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি এখনো। ফলে, মাদ্রাসাটিতে আতঙ্কের মধ্যদিয়ে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। ভবনের প্লাস্টার ধসে পড়ে যাবার ভয়ে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি দিনদিন কমে যাচ্ছে। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের মাদ্রাসায় পাঠানো প্রায় বন্ধ করেই দিয়েছেন। যে কোন মুহূর্তে মাদ্রাসাটির ছাদের প্লাস্টার ধসে পড়ে কোমলমতি শিশুদের প্রাণহানি ঘটতে পারে।

উপজেলার কুতুব আউলিয়া মাজারের পাশে ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কুতুব আউলিয়া শামসুল উলুম আজিজিয়া দাখিল মাদ্রাসা। শাহ সুফি মৌলানা আজিজুল হক সিদ্দিকীর একক প্রচেষ্টায় প্রথমে টিনশেড ঘরেই চলত পাঠদান। পরে ১৯৮৪-৮৫ অর্থ বছরে দুতলা একটি ভবন নির্মিত হয়। আর তাতে ১০টি ছোট-বড় রুম নিয়েই চলছিল শিক্ষাদান। ৪৯০ জন ছাত্রছাত্রী এখানে শিক্ষাগ্রহণ করছে। ৩৪ বছরে মাদ্রাসার ভবনটি ব্যবহার ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

সরজমিনে দেখা গেছে, মাদ্রাসা ভবনের ছাদ ও দেয়ালে ফাটল ধরেছে। দরজা-জানালাগুলো সংযুক্তিহীন হয়ে পড়ায় নেই কোন নিরাপত্তা। দেয়ালের প্লাস্টার উঠে মরিচাযুক্ত রডগুলো বাইরে বেরিয়ে এসেছে। প্রায়ই মাদ্রাসার ছাদের প্লাস্টার বড় বড় অংশে ধসে পড়ছে মেঝেতে। এতে ছাত্রছাত্রীর আহতের ঘটনাও ঘটেছে। তাই ভয়ে মাদ্রাসার আসা বন্ধ করে দিয়েছে অনেক ছাত্রছাত্রী। শুধু তাই নয়, মাদ্রাসার ভবনের বারান্দার পাকা খুঁটিগুলোতে ফাটল ধরেছে। প্লাস্টার ও ইট ক্ষয়ে পড়ছে। বৃষ্টি হলেই ফাটল দিয়ে পানি পড়তে শুরু করে। বর্তমানে মাদ্রাসার ভবনটি মেরামতেরও খুবই প্রযোজন।

অভিভাবকরা জানান, মাদ্রাসার নতুন ভবন নির্মাণের জন্য বারবার রাজনীতিবিদসহ সরকারি কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। তবু, নতুন ভবন স্থাপন বা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মৌলানা আজিজুল হক সিদ্দিকী জানান, মাদ্রাসার জরাজীর্ণ ভবনের বিষয়টি একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও এখনও কোন সুরাহা হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে দ্রুত মাদ্রাসার ভবনটি সংস্কার ও নতুন ভবন স্থাপনের জন্য সরকারের প্রতি দৃষ্টি আর্কষণ করছি।

স্থানীয়রা জানায়, বর্তমান সরকার শিক্ষাখাতে ব্যাপক উন্নয়ন করলেও এই মাদ্রাসাটিতে উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি। যেসব স্কুল -মাদ্রাসায় ভবনের প্রয়োজন নেই, সেসব প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন তৈরি হচ্ছে।

এ ব্যাপারে অনতি বিলম্বে এই মাদ্রাসায় নতুন ভবন স্থাপন ও পুুরাতন ভবনটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।

পাঠকের মতামত: